logo

মর্টার শেলে মানুষ মরলেও সরকারের প্রতিবাদ নেই: রিজভী

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:06 Feb 2024, 06:40 PM

মর্টার শেলে মানুষ মরলেও সরকারের প্রতিবাদ নেই: রিজভী


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিয়ানমারের মর্টার সেল ফেলছে। বাংলাদেশের নাগরিক মারা যাচ্ছে। কিন্তু সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা কাউকে একটা প্রতিবাদও করতে দেখিনি। কারণ, তারা তো মাথা আগেই বিক্রি করে দিয়েছে। এ জন্যই মাথা বিক্রি করে তারা সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে দাবি করে রিজভী বলেন, তাই বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে। আর উনি তার সোনার হরিণ ধরে রাখতে গণতন্ত্রকামী জনগণ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। কারণ উনি নতজানু, প্রভুদের সাহায্যে জনগণকে তালাক দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে আছেন। অন্য দেশের ছোড়া মর্টার সেলে নাগরিক ও বিজিবি মারা যাবে প্রতিবাদ করতে পারেননি। কারণ, আপনি তো ডামি নির্বাচন করেছেন, জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ভেতরে ইন্টারনাল নিরাপত্তা একটা বাহিনী তৈরি করেছেন তার নাম ছাত্রলীগ। তাদের কোনো আইন নেই। শুধুমাত্র বিএনপি, যুবদল ছাত্রদলের মিছিল দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা আছে। বেআইনি অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়ে তাদের ধাওয়া দেবে। যার ফল এখন সরকারসহ সাধারণ জনগণ টের পাচ্ছে। এখন ছাত্রলীগকে নারী নির্যাতনের আশকারা দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে ভয় পান দাবি করে রেজভী বলেন, ছাত্রলীগ নারী নির্যাতন করলে তিনি কোনো কথা বলেন না। শেখ হাসিনা নারীর শ্লীলতাহানিকে অবাধ করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের জন্য। বিচার হয় শুধুমাত্র গণতন্ত্রের কথা বললে।

আজকে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিনা অপরাধে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এ দেশে কোনো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি মানুষের মাঝে ক্ষোভের দাবানল তীব্রতর হচ্ছে, তাদের পতন অতি সন্নিকটে।

টাকা পাচারের অভিযোগ তুলে বিএনপির এ নেতা বলেন, শুধু বড় বড় প্রজেক্ট করে, টাকা আত্মসাৎ করে উন্নত দেশের পাচার করছে সরকার।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদসহ অনেকে।



© দিন পরিবর্তন