১৯-মে-২০২৪
১৯-মে-২০২৪
Logo
আমেরিকা

ধর্ষণ ও মানহানির মামলায় ট্রাম্পকে ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-২৭ ২১:৪৫:০২
...

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ধর্ষণ ও মানহানির মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত। ভুক্তভোগী নারী মার্কিন লেখিকা ই জিন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ দিতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতের নয় সদস্যের প্যানেল ট্রাম্পকে এই নির্দেশ দেন। নয় বিচারকের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও দুজন নারী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টানা পাঁচ দিন ধরে এই মামলার শুনানি চলেছে। শুনানি শেষে ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালত রায়ে পৌঁছাতে মাত্র ৩ ঘণ্টা সময় নেন। এই মামলায় ক্যারল ন্যূনতম ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তার ৮ গুণেরও বেশি অর্থ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্পকে। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আদালতের রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে ক্যারল বলেছেন, এটি প্রত্যেক নারীর জন্য একটি মহান বিজয় যা তাদের আঘাতের পরও উঠে দাঁড়ানোর সাহস জোগাবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই রায় প্রত্যেক ধর্ষক ও যারা নারীদের নিচু চোখে দেখার চেষ্টা করে তাদের জন্য এক বিশাল পরাজয়।

এলি ম্যাগাজিনের সাবেক এই কলামিস্ট ২০১৯ সালের নভেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন। ৮০ বছর বয়সী ক্যারল অভিযোগ করেন, ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছেন এই অভিযোগ অস্বীকারের মাধ্যমে তার মানহানি করেছেন। সেই মামলায় ক্যারল ন্যূনতম ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। ওই সময় আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে ক্যারল বলেছিলেন, তিনি তার জীবন ফিরে চান। বছরের পর বছর ধরে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ক্যারলের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালের ম্যানহাটনের বার্গডর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। ২০১৯ সালে এই মামলা দায়ের করা হলেও তার বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালানো যায়নি। কারণ, সে সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেব দায়মুক্তির সুবিধা পাচ্ছিলেন। 

পরে ২০২৩ সালের এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সেপ্টেম্বরে ক্যারলের মামলায় ট্রাম্পকে ধর্ষণকারী বলে আখ্যা দেয় আদালত। পাশাপাশি ট্রাম্পকে অর্থদণ্ড দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন। তবে জরিমানার পরিমাণ তখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অবশেষে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হলো।