০৩-ডিসেম্বর-২০২৪
০৩-ডিসেম্বর-২০২৪
Logo
রাজশাহী

কিশোরগঞ্জে লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৩-১০-২১ ১৭:১৮:২৪
...

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি:

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে ভেড়ভেড়ি কামাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে। 

সরেজমিনে উক্ত প্রতিষ্ঠান গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল আট টায় পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও ৮ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কেউ মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়নি। সকাল প্রায় ৯ টার দিকে ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজিবুল আহসান ও মাদ্রাসা সুপার নূহু ইসলাম একটি মাইক্রোবাসে প্রতিষ্ঠানে আসেন। 

মাইক্রোবাস থেকে নেমেই তারা তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। নিয়োগ পরিপত্রে বলা আছে প্রতিষ্ঠানে এসে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা আগে থেকেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। পরীক্ষা শুরুর আগে ২ জন প্রার্থী ছাড়া অন্যদের প্রবেশপত্র সাথে ছিল না। এছাড়া কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখে চাকরী প্রার্থীরা আবেদন করেছেন ও পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেন প্রশ্ন করা হলে- চাকরি প্রত্যাশীরা এর কোন উত্তর উপস্থিত সাংবাদিকদের দিতে পারেনি ।

একটি সূত্র জানায়, ডিজির প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর রাতে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে নেমে রাত্রীযাপনের জন্য নীলফামারী সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওই রাতেই ভেড়ভেড়ী কামাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোখলেছার রহমান ও সুপার নুহু ইসলামের উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা হয় এবং ২০ অক্টোবর সকালে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার জন্য উত্তরপত্রও রেডি করা হয়। যা নিয়োগ পরীক্ষার সময় খাতা পরিবর্তন করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছে।

পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন জানান- এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ছাত্র-ছাত্রী দেখিনা আমরা। প্রতিষ্ঠান প্রধান সবাইকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে শুধু টাকা নেয়। আপনারা রিপোর্ট করেন  উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের আমি এর জবাব দিব। তিনি আরও বলেন, আজকে যে ৩টি পদে নিয়োগ হচ্ছে, এ পদগুলোর বিপরীতে ১৩ জনের কাছে টাকা তারা নিয়েছে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার নূহ ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে (০১৩০৯১২৫০৩৮) জানতে চাইলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত আছি বলে তিনি লাইন কেটে দেন।

টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের ব্যাপারে জানতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজিবুল আহসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ থাকার পরেও আপনি কিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর কোন সদুত্তর না দিয়ে তিনি দ্রæত মাইক্রোবাসে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।