২০-এপ্রিল-২০২৪
২০-এপ্রিল-২০২৪
Logo
জাতীয়

কর কমিয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যেত: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২২-০৮-১০ ১৮:৫০:৪১
...

জ্বালানি তেলের কর প্রত্যাহার বা কমিয়ে মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যেত বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।  সংস্থাটি বলছে,জ্বালানি খাতের সংস্থাগুলোর দুর্নীতি-অপচয় বন্ধ করতে না পেরে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

‘জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি: এখন এড়ানো যেত কি?’ শীর্ষক এক নিবন্ধে এমনটাই জানিয়েছে সিপিডি।  আজ রাজধানীর ধানমন্ডির নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি।  

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি বলেছে, ভর্তুকি সম্পদের অপচয় করে।  এ ছাড়া এটি ধনী-গরিব সবাই পায়।  তাই ভর্তুকি তুলে দিতেই হবে।  এটি আইএমএফের শর্তে হোক বা না হোক।  তবে এটি ধীরে ধীরে করা যেত।

জ্বালানি তেলের দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে সিপিডির নিবন্ধে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানোর ঘটনা দেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয়।  বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে অর্থনীতি এখন চরম চাপে।  ধাপে ধাপে নানাভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  এমন সময়ে এ মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে।  সবচেয়ে বেশি ভুগবে নিম্ন আয়ের ও নির্ধারিত আয়ের মানুষ।  বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।  দেশে কৃষি উৎপাদন কমলে আমদানি বাড়বে।  শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হলে রপ্তানি কমবে। 

সিপিডির নিবন্ধে বলা হয়, গত মে পর্যন্ত শেষ আট অর্থবছরে ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বিপিসি।  সরকার জ্বালানি তেলে প্রায় ৩৪ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের কর নেয়।  বিপিসির কাছ থেকে প্রতিবছর লভ্যাংশ নিচ্ছে।  উদ্বৃত্ত অর্থ হিসাবে বিপিসির তহবিল থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে সরকার।  

নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।  তিনি বলেন, করোনা মহামারির প্রভাবে অনেক মানুষ এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।  সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে অনেকে।  তাদের স্বস্তি না দিয়ে উল্টো চাপ তৈরি করা হচ্ছে। 

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি অবশ্যই এড়ানো যেত বলে দাবি করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।  তিনি বলেন, ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার মানে ভোক্তার ওপর দায় চাপানো নয়, অপচয় কমানো।  বিপিসির মুনাফার টাকা গেল কোথায়।  তাদের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা দরকার।  এটা আইএমএফের জন্য হলেও ভোক্তার ওপর না চাপিয়ে আরও কিছুদিন চালিয়ে নেওয়ার আর্থিক সক্ষমতা বিপিসির ছিল। 

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু সুপারিশ করেছে সিপিডি।  এতে বলা হয়, মূল্যবৃদ্ধি পুনর্বিবেচনা করে এটি কমিয়ে আনা।  খোলাবাজারে কম দামে সরকারের পণ্য বিক্রি বাড়ানো।  রেশন কার্ডের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো।  শুধু দরিদ্র নয়, নিম্ন আয়ের মানুষদেরও দিতে হবে।  আর এটা যাঁর প্রয়োজন, তাঁকে দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা।  মধ্যমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে প্রাথমিক জ্বালানি নিশ্চিত করতে দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।