২০-এপ্রিল-২০২৪
২০-এপ্রিল-২০২৪
Logo
জাতীয়

মোদি সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন আজ

দিন পরিবর্তন ডেস্ক

প্রকাশিতঃ ২০২১-০৩-২৭ ০৭:৪০:৩৩
...

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার (২৭ মার্চ) সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জ সফরে যাচ্ছেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তিনি। এছাড়াও সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জের দুটি মন্দিরে প্রার্থনাও করবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ ঢাকা সফরে আসেন। সফরের প্রথম দিন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সফরের দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা যাবেন। তিনি শ্যামনগরে সাড়ে চার শ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শন ও পূজা-অর্চনা করবেন। একই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

মোদি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা যাবেন হেলিকপ্টারে। সাতক্ষীরা সফর শেষে সেখান থেকে যাবেন গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায়৷ সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার আগেই সেখানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে স্বাগত জানাবেন। সেখান থেকে তিনি যাবেন কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে। সেখানে তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়িতে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা-অর্চনা করবেন। ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ির সদস্য ও বাংলাদেশে মতুয়া মহাসংঘাতিপতি (সভাপতি) সীমা দেবী ঠাকুর বলেন, ‘ঠাকুর বাড়ির বধূরা ফুল ছিটিয়ে, উলুধ্বনি ও শঙ্খ বাজিয়ে মোদিকে স্বাগত জানাবেন।'

এই মন্দির পরিদর্শন শেষে মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তারপর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফিরবেন।

সূত্র জানায়, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে ওড়াকান্দি মন্দির পরিদর্শন করছেন মোদি। পশ্চিমবঙ্গে মতুয়াদের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। মোদি ওড়াকান্দি সফর করলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়াদের ভোটে প্রভাব পড়তে পারে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে তিনি ওড়াকান্দি যাচ্ছেন।

ওড়াকান্দি থেকে ঢাকায় ফেরার পর বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। প্রথমে দুজনের একান্ত বৈঠকের পর তাঁরা দুই দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে আগামী দিনগুলোতে সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে। আগামী ২০২২ সালে ভারতের ৭৫তম বছর উদযাপন নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশ, ভারত—দুই দেশই এখন কানেক্টিভিটির ওপর জোর দিচ্ছে। তাই বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় কানেক্টিভিটিতে অগ্রাধিকার দেখা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে প্রায় ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, সম্ভাব্য সমঝোতাগুলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ট্রেড, ওশানোগ্রাফি, সংস্কৃতি খাতে সহযোগিতা, ১৯৭১ সালের চেতনা সংরক্ষণ, স্বাস্থ্য, রেলওয়ে, শিক্ষা, সীমান্তে উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ে। তিনি এমওইউ বা চুক্তির সংখ্যার দিকে না তাকিয়ে সম্পর্কের গুণগত মানের দিকে তাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এবারের বৈঠকেও তিস্তা ও অভিন্ন নদ-নদীগুলোর পানিবণ্টন ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু কোনো চুক্তি সই হবে না।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।